সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭২-এ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৮১ জন। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮১ শতাংশ। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৯ হাজার ৫৩৪ জনে।
আজ সোমবার (১ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি ৫২টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ৩৩৯টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৩৬৯ জনের। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ২৩৮১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ১৩৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তাদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন এবং বরিশাল বিভাগে ১ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ৬ জন এবং ১ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুর বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে ১ জনের ২১-৩০ বছরের মধ্যে, ৮ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৭২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৮১৬ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ৫৯৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বুলেটিনে জানানো হয়, ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৪৪৯ জনকে। এ সময় ছাড় পেয়েছেন ২২২ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬ হাজার ২১ জন। দেশের বিভিন্ন স্থানে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। আরও ৭০০টি শয্যার প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট ১০৬টি।
একই সঙ্গে গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইন নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৭০৭ জনকে। এই সময়ে ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭৯ জনকে। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৩ জন। বর্তমানে কোয়ারান্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ১৩৬ জন। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯ টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৪০ জনের। যা ৩১ মে’র বুলেটিনে জানানো হয়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ২ হাজার ৫৪৫ জনের। ওই তথ্য জানানো হয় ৩১ মে’র বুলেটিনে।
এছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়।
এদিকে দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন এবং ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, ১১ মে ১০৩৪ জন, ১২ মে ৯৬৯, ১৩ মে ১১৬২ জন, ১৪ মে ১০৪১, ১৫ মে ১২০২, ১৬ মে ৯৩০, ১৭ মে ১২৭৩, ১৮ মে ১৬০২, ১৯ মে ১২৫১ জন ও ২০ মে ১৬১৭, ২১ মে ১৭৭৩, ২২ মে ১৬৯৪, ২৩ মে ১৮৭৩, ২৪ মে ১৫৩২, ২৫ মে ১৯৭৫, ২৬ মে ১১৬৬, ২৭ মে ১৫৪১, ২৮ মে ২০২৯, ২৯ মে ২৫২৩, ৩০ মে ১৭৬৪ ও ৩১ মে ২৫৪৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়। বিশেষ করে প্রত্যেককেই অবশ্যই মাস্ক পড়তে বলা হয়েছে। এমনকি না পড়লে জরিমানারও কথা বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে যেহেতু লকডাউন উঠেছে স্বাভাবিক হয়ে অফিস-আদালত। আর এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনার কারিগরি নির্দেশনা ব্যাক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মেনে চলার আহবান জানানো হয়।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্বই। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল।